গালে মাংস বৃদ্ধির উপায় | ঘরোয়া উপায়ে গালের মাংস বৃদ্ধি করুন
মানুষটি সুন্দর এটা বলতে আমরা কি বুঝি?বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষের মুখের সৌন্দর্য কে তার সামগ্রিক সৌন্দর্য হিসেবে প্রকাশ করা হয়।আর মুখের সৌন্দর্য নির্ভর করে মুখের গড়নের উপর, অর্থাৎ নাক,ঠোঁট, চোখ,গালের মাংসের সামঞ্জস্যের উপর।”চাপা ভাঙা” এই কথাটা শুনেছেন নিশ্চয়।মানুষের গাল বা মুখ যদি চুপসে যায় বা গালের হাড় যদি ভেসে পড়ে,তাহলে দেখবেন মানুষের মুখের সৌন্দর্যও উধাও হয়ে যায়।আর এটি হয়ে থাকে পুষ্টির অভাবে এবং অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণে।
চাপা ভাঙার কারণ?
স্বাভাবিক ভাবে দুইটি কারণে চাপা ভেঙে যায়,একটি খাদ্য অর্থাৎ পুষ্টির অভাবে,আরেকটি দুশ্চিন্তার কারনে।
পুষ্টির অভাব হওয়ার ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন একটি কারণ।কেনো?এর উত্তর হচ্ছে-
পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বীর্যরসে স্পার্মাটোজোয়া ছাড়াও অন্যান্য একাধিক উপাদানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এসব উপাদানের মধ্যে প্রোটিওলাইটিকসহ অন্যান্য এনজাইম এবং ফ্রুক্টোজের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর ফলে দেহ থেকে যদি প্রচুর পরিমাণ বীর্য বের হয়ে যায়।বীর্য উৎপাদন হতে প্রচুর পরিমাণ ফ্রুক্টোজ আর প্রোটিনের দরকার পড়ে।প্রতি বার বীর্য বের হওয়ার পর,বীর্য উৎপাদনের জন্য যে প্রোটিন দরকার হয় তা শরীর থেকে শোষণ করে।যার ফলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিবে।
এখন যত বেশি বীর্য বের হয়ে যাবে তত বেশি পুষ্টির অভাব দেখা দিবে।আর অন্যদিকে চাপার মাংস কমে যাবে।চাপার মাংস গঠনের ক্ষেত্রে প্রোটিন অনেক কার্যকরী।আর বীর্যের মাধ্যমে এই উপাদান গুলো বের হয়ে যায়।সেই পুষ্টির অভাবের কারণে চাপা ভেঙে যায়।
টেস্টোস্টেরণ এর সাথে চাপা ভাঙার সম্পর্ক
টেস্টোস্টেরণ এক প্রকার হরমোন যা পুরুষের দাঁড়ি,গোঁফ গজানো, পুরুষাঙ্গের কার্যক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে।তাছাড়া পুরুষদের মাংসপেশি গঠনে এর গুরুত্ব রয়েছে।অনিয়ন্ত্রিত হস্তমৈথুনের ফলে টেস্টোস্টেরণ উৎপাদনের অসামজস্যতা দেখা দেয়।যার ফলে চাপা ভাঙার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।যদিও এটি কোনো রোগ নয়।তারপরও চাপা ভাঙার ফলে মুখের সৌন্দর্যের বেঘাত ঘটে।
ক্ষয়পূরণ করার উপায় কি?
হ্যাঁ,এটি খুবি স্বাভাবিক বেপার যে দেহের ক্ষতিপূরণ হয় খাবার এর মাধ্যমে।কিন্তু কোন খাবার খেতে হবে?বিভিন্ন খাবার খেয়ে এই ক্ষতিপূরণ হতে পারে।তবে বিশেষ যে খাবারটির প্রতি আমরা আজ দৃষ্টি দিতে যাচ্ছি সেটি হচ্ছে রসুন।
রসুনকে কেনো গরীবের পেনিসিলিন বলে?
রসুনে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।আর পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেলে লিঙ্গ উত্থান বেশি সময় যাবৎ স্থায়ী হয়।রসুনকে বলা হয় “গরীবের পেনিসিলিন “।
পেনিসিলিন একপ্রকার এন্টিবায়োটিক যা সকল প্রকার যৌনরোগ সাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী।
শুক্রাণু ঘটনে রসুনের ভূমিকা
পুরুষের যৌন-অক্ষমতার জন্য দায়ী একটা কারণ হচ্ছে বীর্যে স্পার্ম অর্থাৎ শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া। রসুন খাওয়ার ফলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।তাছাড়া অনেকের বীর্য পানির মতো পাতলা হয়ে পড়ে। বীর্য ঘন করার জন্য রসুন খুব দ্রুত কাজ করে।
রসুনের সাথে চাপা ভাঙার সম্পর্ক
রসুনে রয়েছে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম যা বীর্য উৎপাদনে সাহায্য করে।আর বীর্য ঠিকঠাক মতো উৎপন্ন হলে পুষ্টির অভাব দেখা দেয় না।
আর পুষ্টির অভাব দেখা না দিলে চাপার মাংস আপনাআপনিই বৃদ্ধি পায়।
তাছাড়া যাদের যৌন ইচ্ছে কোনো দুর্ঘটনার কারণে কমে যায়, তাদের যৌন ইচ্ছা পূর্বের অবস্থায় ফিরানোর জন্য রসুন আলাদিনের চেরাগ বাতির মতো কাজ করে।
রসুন খাওয়ার নিয়ম
রসুন খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।
- প্রতিদিন দুই-তিন কোয়ার বেশি খাওয়া উচিত হবে না।প্রতিদিন এক কোয়া খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
- রসুন কাঁচা খাওয়া যায়,আবার তেলের মধ্যে ভেজেও খাওয়া যায়।
- রসুনের সাথে এক চামচ মধু,বা এক গ্লাস দুধ খেলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
সতর্কতা
- তবে প্রথম প্রথম রসুন খাওয়ার ফলে যৌন ইচ্ছা প্রচুর পরিমাণ বেড়ে যায়,যার ফলে স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- তাছাড়া যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভালো।
ব্লগটি আপানার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
- Facebook
- Linkedin
- Whatsapp
- Twitter