টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ

তিনটি টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ, যেগুলো দ্রুত টেস্টোস্টেরণের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে একটি ক্যাপসুল জাতীয় এলোপ্যাথিক ঔষধ আর একটি ইনজেকশন আর একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ খাও আর সারারাত খেলে যাও

যে হরমোন আপনাকে আমাকে প্রত্যেকটা পুরুষকে করেছে শৌর্যবীর্যবান তার নাম টেস্টোস্টেরণ।এই টেস্টোস্টেরণের সামান্য ভারসাম্যহীনতা পুরুষকে করে দেয় পুরুষত্বহীন।আমাদের সমাজের অনেক পুরুষ আছে যারা দেখতেতো ঠিকই পুরুষ কিন্তু স্বভাব এবং আচার-আচরণ নারীসুলভ।আমরা তাদের দিকে বাঁকা চোখে তাকায় আর হয়তো মনে মনে বলি,”এ্যাহ্ এটা আবার কোন প্রাণী!”
আসলে তাদের মূল সমস্যাটা টেস্টোস্টেরণে।টেস্টোস্টেরণের ক্ষরণ হ্রাসের কারণে তাদের এই পরিণতি।

আচ্ছা তাহলে টেস্টোস্টেরণ কি,কিভাবে কাজ করে,কখন থেকে উৎপাদন শুরু হয় তা জানার জন্য “টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়” আর্টিকেলটি ফটাফট পড়ে আসুন।

এই টেস্টোস্টেরণ ক্ষরণ যদি হ্রাস পায় তাহলে পুরুষত্বে বিভিন্ন সমস্যা, যেমন যৌন সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে।এখন টেস্টোস্টেরণ কিভাবে বাড়ানো যায় সে বেপারে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন “লিংক”। সেখানে বলা আছে কিভাবে খাবারের মাধ্যমে আর লাইফস্টাইল নিয়ন্ত্রণ করে টেস্টোস্টেরণের নিঃসরণ বাড়ানো যায়।

খাবার আর ঔষধের কাজের ধরণ

মনে রাখবেন কোনো রোগ বা দৈহিক সমস্যা যখন প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তখন তা খাবার খাওয়ার ধারা বা সঠিক লাইফস্টাইল গ্রহণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।তবে যদি সমস্যা প্রাথমিক পর্যায় অতিক্রম করে গুরুতর অবস্থার দিকে অগ্রসর হয় তখন আর খাবার খেয়ে কাজ হয় না।তখন অবশ্যই ডাক্তার আর ঔষধের শরণাপন্ন হতে হয়।

তাছাড়া খাবার খাওয়ার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করার প্রসেসটা একটু দীর্ঘ।সকালে খেলাম আর বিকালে কাজ হয়ে যাবে এমনটা ভাবা বোকামি।

এই ধরেন,আমি বললাম রসুন খেলে টেস্টোস্টেরণ নিঃসরণ বাড়ে।এখন আপনি সকালে তিন চারটা রসুন খেয়ে রাতে এসে যদি আমাকে গালাগালি করেন আর বলেন যে, আপনার টেস্টোস্টেরণ ক্ষরণ বাড়েনি।

কিভাবে বুঝলেন?
“আগে যত সময় ধরে যৌন মিলন করতে পারতাম,এখনও সেইরকমই, শক্তিতো বাড়েনি”।
এমন বললেতো সমস্যা।এটাতো কোনও “ল্যাংটা বাবা”র রসুন পড়া না যে খাবেন আর পাঁচ ঘন্টা একটানা যৌনমিলন করে যাবেন।

যাইহোক,যেটা বলছিলাম খাবার খেলে তা কাজ করতে একটু সময় লাগে।তবে রোগ গুরুতর এখন খাবার খেয়ে ঠিক করার সময় হাতে নেই,তখন ইনস্ট্যান্ট, ঝটপট ফলাফল পাওয়ার জন্য ঔষধই একমাত্র হাতিয়ার।

টেস্টোস্টেরণ বাড়ানোর ঔষধ

ঔষধ বলতে এখানে এলোপ্যাথি ঔষধ বুঝাচ্ছি।মানে আপনার বাড়ির নিকটের ফার্মেসীতে যেসব ঔষধ পাওয়া যায়।তবে আয়ুর্বেদিক ঔষধের কথাও বলবো।
এই পর্যায়ে তিনটি ঔষধের কথা বলবো যেগুলো দ্রুত টেস্টোস্টেরণের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।এর মধ্যে একটি ক্যাপসুল জাতীয় এলোপ্যাথিক ঔষধ আর একটি ইনজেকশন আর একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ – Testosterone Undecanoate 40Mg

এটি একটি এলোপ্যাথি ক্যাপসুল জাতীয় ঔষধ।বাংলাদেশের বাজারে Androcap40mg, Andriol TestoCaps40mg ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।যাদের টেস্টোস্টেরণ লেভেল কম তাদের ট্রিটমেন্টে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।দিনে ২-৩ টি ক্যাপসুল সেবন করতে হয়।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ইনজেকশন – Testanon 250 Injection

টেস্টোস্টেরণ লেভেল বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে উপকারী পন্থা এবং খুব দ্রুত কাজ করে এই ইনজেকশন।মাত্র তিনটি ইনজেকশনেই আপনার টেস্টোস্টেরণ লেভেল বেড়ে যাবে।২১ দিন পর পর এই ইনজেকশন দিতে হয়।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক ঔষধ – Mansure testosterone Booster

এটি একটি আয়ুর্বেদ সাপ্লিমেন্ট যা টেস্টোস্টেরণ বুস্টার হিসাবে কাজ করে।কোম্পানির দাবি অনুযায়ী এটি সম্পূর্ণ ন্যাচারালি টেস্টোস্টেরণ ক্ষরণ বৃদ্ধি করে।৬০ টি ক্যাপসুল থাকে একটি কৌটায়।

এই তিনটি উপায়ের যেকোনো একটি আপনি গ্রহণ করতে পারেন।চাইলে ইনজেকশনটাও নিতে পারেন,এলোপ্যাথি ঔষধও খেতে পারেন বা আয়ুর্বেদ সাপ্লিমেন্ট।তিনটিই কাজ করবে নিয়ম মেনে খেলে।

সতর্কীকরণ

যাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে,কিডনি বা লিভারের সমস্যা আছে,বিশেষ করে যাদের হার্টের রোগ,উচ্চ রক্ত চাপ,হাইপারটেনশন রয়েছে তারা এইসব ঔষধ গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করুণ।মনে করেন,আপনার হার্টের রোগ আছে আর আপনি পুরুষত্ব বাড়ানোর জন্য এইসব ঔষুধ খেলেন,সাইড ইফেক্ট হয়ে হার্ট এট্যাক করে অক্কা পেয়ে গেলেন।তাহলে আমও যাবে, ছালাও যাবে।
যৌনতা আগে না জীবন আগে আপনিই ঠিক করুন।
আর তাছাড়াও ঔষধগুলো গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

যাইহোক,আশা করা যায় আপনার যদি অন্য কোনো গুরুতর রোগ না থাকে তাহলে এসব ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে আর তার পূর্বে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনার টেস্টোস্টেরণের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে আর আপনি শক্তিশালী পুরুষ হয়ে উঠবেন,তাগড়া পুরুষ,শৌর্যবীর্যবান।

ধন্যবাদ।

ব্লগটি আপানার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
লিখেছেন
Shaon Ashraf
শাওন আশরাফ -এমবিবিএস মেডিকেল স্টুডেন্ট,ঢাকা,বাংলাদেশ -স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আর্টিকেল লেখক -ইউটিউবার -ব্লগার
এখানে আপনার মন্তব্য লিখুন
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments