রুচি বাড়ানোর সহজ উপায় এবং মুখে রুচি হওয়ার সিরাপ
যাদের কিছুই খেতে মন চায় না,যেটাই খেতে যান মনে হয় খাবার গলার নিচে নামবে না।
অন্যরা যেটা সুস্বাদু হিসাবে খাচ্ছে ঐ একি জিনিস খেতে গিয়ে আপনার বমি চলে আসছে।
কী খেলে রুচি বাড়ানো যাবে? এমন প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন।
আজকের লিখাটিতে রুচি বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় বলবো,এবং সর্বশেষ এমন একটি ঔষধের কথা বলবো যা খেলে শতভাগ নিশ্চিত মুখে রুচি আসবেই এবং সামনে যা পাবেন তাই খেতে ইচ্ছে করবে।
রুচি কমার কারণ কি কি?
প্রথমে জানবো কেনো রুচি কমে যায়। বিভিন্ন কারণে অরুচি হয় আমাদের।আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থাকে,পেটের সমস্যা থাকে তাহলে খাবারে অরুচি হয়।মানসিক চাপে থাকলেও খাবারের প্রতি অনীহা চলে আসে।দুঃশ্চিন্তা করার সময় খাবারে অরুচি হয়,খেতে মন চায় না।
রুচি বাড়ানোর কি কোনো ঔষধ আছে?
খাবারের রুচির ক্ষেত্রে যেহেতু শরীরের সাথে মনের একটা সম্পর্ক আছে।তাই স্বাভাবিকভাবে এর কোনো চিকিৎসা নেই বা কোনো ঔষধ নেই।
যদি পরিষ্কার করে বলি,জ্বর হলে যেমন নাপা খেলে জ্বর সেড়ে যায়।অরুচির ক্ষেত্রে এমন কোনো ট্যাবলেট নেই, যে খেলাম আর রুচি হয়ে গেলো,খুব খেতে পারছি।
তাহলে রুচি বাড়ানোর উপায় কি?
খাবারের প্রতি মনের আকর্ষণ বিভিন্নভাবে বাড়ানো যায়।যেমন
- খাবার যদি সুস্বাদু হয়,তাহলে বেমজা খাবারের চেয়ে সেই খাবার কিছুটা হলেও বেশি খাওয়া যায়।
- খাবার দেখতে যদি আকর্ষণীয় হয় তাহলেও খাবার খেতে মন চায়।
- খাবারের সাথে সালাদ খেলে খাবার বেশি খাওয়া যায়।
- আর গ্যাসের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য ভাজাপোড়া খাবার কম খাওয়া ভালো।গ্যাসের সমস্যা রুচির ক্ষেত্রে প্রধান বাধা।কারণ পেটে গ্যাস থাকলে সারাক্ষণ মনে হবে যে পেট ভরা।তাই আর খিদা লাগবে না।সকালে খালি পেটে পানি খেলে সারাদিন গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রুচি বাড়ানোর আয়ুর্বেদিক ঔষধ
স্বাভাবিকভাবেতো রুচি বাড়ানোর জন্য কোনো ঔষধ নেই।মানে অ্যালোপ্যাথিতে কোনো ঔষধ নেই।তবে আয়ুর্বেদিক কিছু ঔষধ আছে যা খেলে রুচি বাড়ে।
এখন আসি শেষ কথায়,রুচি বাড়ানোর যে ঔষধটির কথা বলবো সে ঔষধটি খেলে মোটামুটি এক-দুই দিনের মধ্যেই আপনি খাবার প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ অনুভব করবেন।খেতে মন চাই না,এই কথাটি আর বলবেন না।বরং বলবেন,যা ইচ্ছে দাও,সব খাবো।
মুখে রুচি হওয়ার সিরাপ – গল্পের নায়ক “ওরসিভ”
তো ঔষধটির নাম ওরসিভ।এটি একটি সিরাপ জাতীয় ইউনানি ঔষধ।এটি ওরিয়েন্টাল ল্যাবরেটরীজ লিঃ এর একটি ঔষধ।এতে রয়েছে গাওজবান যা মস্তিষ্কের দুর্বলতা,হৃদযন্ত্রের দুর্বলতায় বিশেষভাবে কার্যকরী।
ঔষধটি দিনে দুই-তিনবার খেতে হয়,প্রথমবার খাওয়ার পরই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।রাক্ষুসে খিদা চলে আসবে।আপনার নিকটস্থ ঔষধের দোকানে খুঁজ করে দেখেন।তবে যেকোনো ধরনের ঔষধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
লিখেছেন
ব্লগটি আপানার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
-
Facebook
-
Linkedin
-
Whatsapp
-
Twitter
Leave a Reply